টানা বৃষ্টিতে ভেঙে গেল নির্মিয়মান কংক্রীটের সেতু : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১৫ টি গ্ৰাম

30th July 2021 1:55 pm বাঁকুড়া
টানা বৃষ্টিতে ভেঙে গেল নির্মিয়মান কংক্রীটের সেতু : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১৫ টি গ্ৰাম


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বৃষ্টির জলের তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কংক্রিটের ভাসাপুল । গ্রামবাসীদের অভিযোগ মাত্র এক বছর আগেই নির্মাণ হয়েছিল ওই সেতুটি এবার এক বছরের মধ্যেই জলে তলিয়ে গেল সেতু । যোগাযোগহীন পাত্রসায়েরের জামকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের মানুষ । সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ব্যাপক বৃষ্টির জেরে ভেঙে গেছে জামকুড়ি এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদীর মোহনায় কুপর খাল হরিণমরী খালের ওপর নবনির্মিত একটি কংক্রিটের ভাসাপোল । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণের এক বছরের মধ্যে জলের তোড়ে তলিয়ে গেল এই ব্রিজটি । আর এই সেতু ভেঙে পড়ায় চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এলাকার বেশ ১০-১৫ টি গ্রামে নিত্যদিনের যাতায়াত প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষের । কেউ সাইকেল কাঁধে এক কোমর জলের মধ্যে হেঁটে করছেন পারাপার, কেউ আবার ধানের চারাভর্তি বস্তা মাথায় পেরোচ্ছেন। পাশাপাশি, স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদেরও বন্ধ হয়েছে যাতায়াত । ফলে সব মিলিয়ে চরম দুর্দশার শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে । এমন অবস্থায় কি করবেন? কোথায় যাবেন? কিভাবেই বা হবে ওপারের জমিতে চাষাবাদ? প্রশ্নটা ঘুরছে মুখে মুখে।

সেতু ভাঙ্গা নিয়ে ইন্দাস বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা বলেন তৃণমূলকে কাটমানি খায় এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ । তবে সেতুটি নিম্নমানের মেটেরিয়ালস দিয়ে তৈরি হয়েছে দাবি বিধায়কের ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।